গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধের কবলে রয়েছে দেশ। তার ওপর চলছে ৭২ ঘণ্টার হরতাল। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ব্যক্তি বা বিশেষ গোষ্ঠীর কোনো ধরনের উদ্যোগ সফল হবে না বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
তাদের কারো মতে, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সদিচ্ছাই এ সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। কেউ আবার মনে করেন সংকটটি রাজনৈতিক। তাই গণতান্ত্রিক নিয়মেই সরকারকে দায়িত্বশীল হতে হবে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। প্রয়োজনে সহিংসতা দমনে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।
গত ৫ জানয়ারি থেকে ২০ দলের ডাকা ২৮ দিন ধরে চলা টানা অবরোধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোলবোমা হামলায় আতংকিত জনজীবন। তারমধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে হরতাল। অন্যদিকে নাশকতাকারীদের আটকের পাশাপাশি রয়েছে গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসের যোগাড়।
এমন দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে মুক্তির উপায় কী? দেশে জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা নিজেরাও পুরোপুরি নিশ্চিত নন, সমাধানের উপায় নিয়ে।
এই সংকট সমাধানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুঘটক হয়ে লাভ হবে না বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান।
আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর মনে করেন, গণতন্ত্রে নিয়ম মানতে হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই রাজনৈতিক অধিকার আদায় করতে হয়। তার মতে, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন হলেও সংকটের সমাধান হবে না। তাই জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকেই সহিংসতা দমনে কঠোর হতে হবে।
তারা অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা গ্রহণের শংকা নাকচ করে দেন। দেরি হলেও গণতান্তিকভাবেই সমস্যার সমাধান হবে বলে তাদের বিশ্বাস।