বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢুকতে না দেয়ার ঘটনাকে 'অসদাচারণ' হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশিষ্টজনেরা। রোববার দেশ টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তারা।
এতে করে রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত ও সংলাপের সম্ভাবনা আরো কঠিন হয়ে পড়লো বলে মনে করছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সা'দত হুসাইন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে কোকো'র অকাল মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাতে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। কিন্তু কার্যালয়ের গেইট না খোলায় কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে আসেন তিনি।
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা না জানানো এবং গেইট না খোলার ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানকে গেট বন্ধ রেখে ঢুকতে না দেয়ার ঘটনা 'অসদাচরণ।'
এ ঘটনা দেশের চলমান সংকটেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তারা।
তাদের মতে, এতে সংলাপ বা সমঝোতার পথও আরো কঠিন হয়ে পড়লো।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘যে আচরণটা করা হয়েছে তা দুঃখজনক। অনেকটা অসদাচরণের পর্যায়ে পরে। গেট বন্ধ থাকবে কেন? গেটটা খুলে দেয়া দরকার ছিলো এবং ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যথাযথ মর্যাদা দিয়ে বসতে দেয়া উচিৎ ছিলো।’
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘তারা (২০ দল) সংলাপ চাচ্ছেন অথচ কথা বলতে রাজি হন না বা তার সাঙ্গপাঙ্গ যারা ছিলেন তারা তাকে কথা বলার সুযোগ দেননি এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার তো মনে হয় এখন সংলাপ আরো কঠিন হয়ে গেলো। সংলাপের আশা আরো দূরে সরে গেলো।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সা’দত হুসাইন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেছেন একজন মা হিসেবে। এটা আমরা দেখেছি। সবাই এটার প্রশংসা করেছে। তারপর দেখা হয়নি, তিনি চলে আসছেন এটা সকলে দেখেছেন। আমার মনে হয় এরকম শোকাবহ অবস্থায় এর থেকে বেশি কিছু বলা ঠিক নয়।’