টানা অবরোধ-হরতালে গত ২৮ দিনে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন আর পেট্রোল বোমায় পুড়ে মারা গেছেন ১৮ জন। নাশকতায় জড়িতদের ধরতে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এরইমধ্যে সহিংসতায় সাড়ে ৫০০ মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি।
তবে সরকারি হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৪৪ জন। নাশকতা ও সন্ত্রাস দমনে সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে এবং কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবুও যানবাহনে পেট্রোলবোমা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছেই। বাড়ছে লাশের সারি।
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রোলবোমাসহ নানা সহিংসতায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০০ যানবাহন।
এর মধ্যে আগুন দেয়া হয়েছে তিনশোর বেশি যানবাহনে, ১৬১টিতে ভাঙচুর করা হয়েছে আর এসব ঘটনায় সারাদেশে সাড়ে ৫০০ মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৭ হাজার ৪৪ জন।
বিএনপি সহিংসতার দায় স্বীকার না করলেও সম্প্রতি সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিএনপির দাবি চ্যালেঞ্জ করে গ্রেপ্তারকৃতরা যে বিএনপি-জামাতেরই কর্মী তা তুলে ধরেন গণমাধ্যমের কাছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশজুড়ে সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু থেকে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে কয়েকদফা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, মোটর সাইকেলে আরোহী বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশ আর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সর্বোচ্চ নজরদারি এবং অপরাধী ধরার অভিযান বাড়ানো হলেও প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসে ছোড়া পেট্রোল বোমায় পুড়ছে মানুষ, পণ্যবাহী যানবাহনে আগুনসহ চলছে ভাঙচুর।