বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া সরকারের বিরোধী দল দমনের কৌশল বলে মনে করছেন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারা। এ দমন নীতিকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
দেশ টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এসব অভিমত তুলে ধরেন।
তাদের অভিমত, সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করতে।
এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সবদলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের তাগাদা দিয়েছেন তারা।
ড. কামাল বলেন, ‘জাতীয় সংলাপ— দুই দলের সংলাপ নয় এটা সকল রাজনৈতিকদলের সংলাপ এজন্য সবাইকে আজ সোচ্চার হতে হবে।’
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘নিবার্চন মানে যেন-তেন নির্বাচন নয়। দেখা যাবে পরের বারও একইরকম অবস্থা চলতে থাকবে। অতএব এমন একটা নির্বাচন হওয়া উচিৎ যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। যে নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রকে শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করাবে।’
এরইমধ্যে ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ও ২০ দলীয় জোটের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। মহানগর জুড়ে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকামুখী বাস ও লঞ্চ চলাচল।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক।
তারা বলেন, ক্ষমতাকেন্দ্রিক লড়াই জনগণের কাম্য নয়।
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে দমননীতি এটা নিন্দনীয় এবং যে ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘাতময় রাজনীতি এটা জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য।’
ড.কামাল হোসেন বলেন, ‘বিজয়ের আনন্দ উল্লাস তো সকল মানুষকে নিয়ে। এটা কোনো দলের ব্যাপার না। বিশেষ করে গণতন্ত্রের ব্যাপারে যদি আনন্দ উল্লাস হয় তবে তা ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে আনন্দ করার কথা।’
চলমান সঙ্কটের সমাধানে দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপের আয়োজন জরুরি বলে মনে করছেন তারা। আবারো সংলাপ আয়োজনে সরকারেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে জানান তারা।