৫ জানুয়ারিকে ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়েছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ওই দিনটিকে ঘিরে ঢাকায় বড় ধরনের সমাবেশ করতে চায় জোট।
৩ ও ৫ জানুয়ারিতে তারা অনুমতিও চেয়েছে। তবে গাজীপুরের অভিজ্ঞতায় তার সম্ভাবনা খুবই কম। সেজন্য আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বিএনপি ও জোটনেত্রী খালেদা জিয়া। আসতে পারে আরো হরতাল এবং লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানায় ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল বর্জন করে। আওয়ামী লীগ টানা ২য় বারের মতো সরকার গঠন করে এবং বিরোধী দলের আসনে বসে জাতীয় পার্টি। আর নির্বাচনে না যাওয়ায় এখন সংসদের বাইরে রয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনের পর প্রায় বছর জুড়েই বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট সরকারের সঙ্গে সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি দ্রুতই অংশগ্রহণমুলক আরেকটি নির্বাচনের দাবিও করে আসছে তারা। তবে, কঠোর কোনো কর্মসূচি তারা দেয়নি। সভা-সমাবেশ আর বিক্ষোভের মধ্যেই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিলো।
এরই মধ্যে বছর শেষে গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে না দেয়ায় হঠাৎ করেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদে ২৯ ডিসেম্বর সারাদেশে হরতালও করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
এমন প্রেক্ষাপটে ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ৩ ও ৫ তারিখ সমাবেশ করতে চায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এজন্য অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন থেকেই ঢাকায় কোনো প্রকার সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে না তারা।
দল ও জোটের নেতারা ৫ জানুয়ারিকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ঢাকায় সমাবেশ করে ব্যপক শোডাউন করতে চায় বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনগুলো।
নেতারা বলছেন, যেভাবেই হোক ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। তবে, সমাবেশ করতে না দিলে জোট ৩ দিনের হরতাল কিংবা লাগাতার কর্মসূচি দেবে বিএনপি নেতাদের বরাত দিয়ে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তা সরাসরি না বললেও কঠোর কর্মসূচি যে আসবে তার সম্ভাবনার কথা বলেছেন নেতারা।