ভবিষ্যতে যাদের ফেইসবুকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠার আশঙ্কা আছে, ফেইসবুক সেগুলোকে অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ করছে। এ ক্ষেত্রে ফেইসবুক ‘কিনে নাও, নয়তো ধ্বংস করে দাও’ নীতির আশ্রয় নিয়েছে।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টিকে সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। এদিকে তার পাশাপাশি আরো ৪৫ স্টেট ও ফেডারেল রেগুলেটর ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রায় এক দশক ধরে ফেইসবুক নিজের ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণকে কাজে লাগিয়ে তুলনামূলক ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষমতা খর্ব করে যাচ্ছে।
২০১২ সালে ১ বিলিয়ন ডলারে ইনস্টাগ্রামকে কিনে নেয় ফেইসবুক। তখন প্রতিষ্ঠানটির নামডাক ছিল না। আর আকারেও ছোটখাটো একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। ওই সময় তাদের কর্মী সংখ্যা ছিল শুধুমাত্র ১৩ জন।
এর বছর দুয়েক পর আরেক কাণ্ড করে বসে ফেইসবুক। তাৎক্ষণিক বার্তা চালাচালির অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের দাম মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলার ধরে কিনে নেয় ফেইসবুক। আর এ ক্ষেত্রে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার নগদে পরিশোধ করেছে ফেইসবুক। আর ১৪ বিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে পূর্বের হোয়াটঅ্যাপ মালিকের কাছে ফেইসবুকের কিছু অংশের শেয়ার বিক্রি করা হয়।
ব্রিটিশ এমপি ডামিয়ান কলিনও এই অভিযোগের অনুকূলে সায় দিয়েছেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে তারা বাজারে নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রকাশিত কিছু নথিতে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
তবে ফেইসবুকের কাছে এসব অভিযোগের মানে হলো প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা! এর বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। / ইন্টারনেট অবলম্বনে