যুক্তরাষ্ট্রের বিগত নির্বাচনে ভুয়া খবরের স্বয়ংক্রিয় প্রচারের কিছুটা ধাক্কা লেগেছিল ফেসবুকের রাজস্বে; এমনকি কংগ্রেশনাল জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয় ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গকে।
একই ধরণের অভিযোগ উঠেছে এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল (Google) এর বিরুদ্ধে। ফলশ্রুতিতে, অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ, অনৈতিকতা ও অশ্লীল বাক্য বা যেকোনো উপাদান প্রচারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের রাস্তা আরও কঠিন করছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল।
অনলাইন প্লাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনকে সামনে রেখে অ্যালফাবেট নিয়ন্ত্রিত গুগল তাদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নীতিমালা কঠোর করছে।
গুগল জানায়, আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভুয়া সংবাদের বিস্তার ঠেকাতে ও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে স্বচ্ছ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
গুগলের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে কারা অর্থ পরিশোধ করছে, তার তথ্য প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতার পরিচয় প্রকাশের ব্যবস্থা চালু করে গুগল। এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপেও এমন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যে একই ধরনের ব্যবস্থা চালু করেছে ফেসবুক।
গুগল আরও জানিয়েছে, ইইউর নির্বাচন-সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যেখানে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এর ফলে যে কেউ এসব বিজ্ঞাপন-সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যে একই ধরনের ব্যবস্থা চালু করেছে ফেসবুক।