মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে ইন্টারনেট আড়াই ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ইন্টারনেট নিয়ে দেয়া আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও প্রশ্ন ফাঁস থামানো যায়নি।
একের পর প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষার দিন আড়াই ঘণ্টা করে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গতকাল সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষার আগে ইন্টারনেটের গতি কমানো হয়। কিন্তু এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার শুরু থেকে সাত বিষয়ের সবগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি এর মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। বাকি ৫০ লাখ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
এর আগে দেশে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর দেড় ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বাংলাদেশে। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ২২ দিন বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখে সরকার।