পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন ও প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজ। রোববার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন মহারাজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা জানান।
৯৫ শতাংশ সমর্থন থাকার পরও আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, দলের প্রতি আনুগত্যের জায়গা থেকেই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ সময় দলের সমর্থিত প্রার্থীকে তিনি সমর্থনও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জেলার সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন পাওয়া সালমা ইসলামও।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহিউদ্দিন মহারাজকে ডেকে নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় আরো বেশ কয়েকজন নেতা ছিলেন বলেও জানা গেছে। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মহিউদ্দিন মহারাজকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এবং দলের সিদ্ধান্ত মেনে সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কথা বলেন। ঐ বৈঠকে উপস্থিত একজন সিনিয়র নেতা জানান, মহিউদ্দিন মহারাজকে ভবিষ্যতে বড় কোনো কিছু দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
পরে সেখানে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়ালকে ডেকে নিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। এখানে উল্লেখ্য পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে যিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন তিনি এ কে এম আউয়ালের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।