আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ থেকেও চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে— উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ জন্য আপিল করারো কোনো সুযোগ নেই তার।
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চূড়ান্তভাবে কেনো বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিলো তার জবাব লতিফ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দিয়েছেন। তবে এ জবাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে উত্তর সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি। এ জন্যই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ সর্বসম্মতভাবে লতিফ সিদ্দিকীকে চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্কে দেয়া বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকী ধর্মের ওপর আক্রমণ করেছেন। ধর্মকে তিনি যেভাবে খাটো করেছেন, তা মুসলিম উম্মাহকে আঘাত করেছে। বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষকে তা মর্মাহত করেছে।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকীর আপিল করার সুযোগ আছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, তার আপিল করার কোনো সুযোগ নেই।
তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না তা নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি হজ ও তাবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। এতে শ্রমশক্তি ও অর্থের অপচয় হয়।
তার ওই বক্তব্য প্রতিবাদে আলোচনার ঝড় উঠে। এরপর বিভিন্ন জেলায় দুই ডজনের বেশি মামলা হয় লতিফের বিরুদ্ধে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১২ অক্টোবর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।