আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল—তার পদত্যাগ না করাটা দুর্ভাগ্যজনক, উনি তো পদ আঁকড়ে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত বাংলাদেশে চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ ব্যাপার ছিল না—প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শালীনতা ও ধৈর্য্যরে সঙ্গে বিষয়টির মীমাংসা করেছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের এ নেতা বলন, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিস্কার হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ সাংবিধানিকভাবে বাতিল হবে না।
সংবিধানের ৬৬ ও ৭০ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে সুরঞ্জিত বলেন, এগুলোর কোনোটিই লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আর এতে করে স্পিকারও লতিফ সিদ্দিকীর আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনারের কাছে নোটিশ করতে পারবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ থাকবে কি না- এ সম্পর্কে দলের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেছেন। তিনি একইসঙ্গে দলের নীতি নির্ধারক ও মন্ত্রী অর্থাৎ সরকারেরও নীতি নির্ধারক।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দলসহ সাধারণ মানুষের কাছে লতিফ সিদ্দিকী জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন সেক্ষেত্রে তিনি পদত্যাগ করলে তার আসনটি শূন্য হবে।
লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে ধর্মহীনতায় নয়, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে এ দল বলেও জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।