আন্দোলনের নামে ঈদের পরে রাজপথে জনদুর্ভোগ বাড়ালে, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে চরমমূল্য দিতে হবে— হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজিত ‘বিশ্ব শান্তির দূত দেশের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা-সমকালীন রাজনীতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
ঈদের পরে সাধারণ মানুষকে আতংকিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম বলেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আর মানুষ মারার আন্দোলন প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ রাজপথে প্রস্তুত রয়েছে। ঘোষণা দিয়ে কোনো আন্দোলন করা যায় না।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে নির্বাচন হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা কাল (শনিবার) বলেছেন। নিদৃষ্ট সময় নির্বাচন হবে, আপনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে আসুন। এর আগে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না, উদ্বেগ সৃষ্টি করেন না। খবরের কাজে শুধু হেড লাইন করেন না, যে এই হবে, সেই হবে, আসলে কিছুই হবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়— উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘সংবিধান রয়েছে আর সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। নির্বাচনের সময় অন্তবর্তী সরকার হবে এবং নির্বাচন হবে। কিসের সংলাপ হবে, কোনো সময়ই সংলাপ হবে না।’
জনদুর্ভোগ, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দলের আরেক নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইবেন, মানুষকে কষ্ট দিতে চাইবেন ও ২০১৩ সালের মতো সন্ত্রাস করতে চাইবেন তাহলে অনেক মূল্য দিতে হবে।’
কামরুল বলেন, ‘সংলাপ কথা বলেন অথবা আলোচনার কথাই বলেন না কেন, কোনো কিছুরই সম্ভাবনা নেই।’
দশম সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির দলীয় ঐক্য ভেঙে গেছে মন্তব্য করে আগামী নির্বাচনে মেরুদণ্ড সোজা করে দল গঠনেরও বিএনপিকে পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিববীদ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।