নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়রসহ ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রত্যাহার করে নেয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও র্যা বের সিওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘গত শনিবার নূর হোসেনের বাড়ি রেট করা হয়েছে, এতদিন কোথায় ছিলেন? খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কি করা যেত না? এর আগে পদক্ষেপ নেয়া হলে অপরাধী এবং আরো অনেক আলামত পাওয়া যেত। তারা তা পালন করেননি, তারা এটি একটি অপরাধপূর্ণ অবহেলার দায়িত্ব পালন করেছেন। এ অপরাধে যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে র্যািবের সিও এবং ওসি এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপরাধপূর্ণ অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত।’
একই ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে সম্পৃক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতি করলেও সংবিধান অনুসারে মেয়াদ শেষ করবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কারো কোনো বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তবে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য এবং হত্যা গুম একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা তার বক্তব্যে বলেছিলেন চোরাগোপ্তা হামলা করতে হবে, আমরা দেখলাম তার বক্তব্যের কয়েকদিন পরেই চোরাগোপ্তা হামলা করে ৭ জনকে অপহরণ করা হলো।’