নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে খুলনায় দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার ( ২১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দূর-দদূরান্তের যাত্রীরা।
এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট আহ্বান করে। যদিও সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, শনিবার বিরোধী দল বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই গণপরিহন বন্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সব পথে গাড়ি বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা-খুলনা রুটের বাস যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলবে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে এবং খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি ছেড়ে যাবে না এই দুই দিন।
শুক্রবার বনানীত নিজ কর্যালয়ে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছেন, দেশের কোথাও গাড়ি বন্ধের বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না। কেউ তার কাছে কোনো দাবি-দাওয়াও জানায়নি। তিনি বলেন, মালিক শ্রমিকরা আমাদের বলে ধর্মঘট করে না।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছেন, নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদ নয়, বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মালিক ও শ্রমিক পক্ষ।
এ প্রসঙ্গে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মনা গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করতে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। তবে তাদের কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। বিএনপির সমাবেশ সফল হবে।