মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার রাখায় রাজধানীর গুলশানে ‘ডরিন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’-কে তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ।
সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সংস্থাটির একটি চৌকষ টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
উচ্চমূল্যের এ হোটেলে মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী দিয়ে খাবার তৈরি করে পরিবেশন করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত এরকম ১৭ থেকে ১৮ টি মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী পেয়েছে। এছাড়া অবিক্রীত খাবার বক্সে ভরে পরের দিন বিক্রীর জন্য রেফ্রিজারেটরে রেখে দেওয়া হয়। এখানে উচ্চবিত্ত এবং বিদেশী কাস্টমারই যাতায়াত করে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টিম জানায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় দেশব্যাপী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গুলশান-২ এর অভিজাত এলাকায় ‘ডরিন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ-২০০৯ এর ৪৩ ধারা, ৫১ ধারা এবং ৫৩ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে এ জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ ইচ এম সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ভোক্তা অধিকার টিম অভিযান শেষে যে তথ্য জানিয়েছে সেটা শুনে আমি হতভম্ব।
তিনি বলেন, এসব অভিজাত হোটেল সম্পর্কে যেটুকু বিশ্বাস এবং আস্থা ছিলো সেটা আমার বিবেককে প্রচন্ডভাবে আঘাত করেছে।
মহাপরিচালক বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন আমরা নাকি ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান করি। এ অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা কোনো অভিযোগ কিংবা তথ্য পেলে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার্থে আরো কঠোরতর অভিযান পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন,এসব অনিয়ম এবং প্রতারণার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।