মধুমতি সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে টোল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ৫৫৬ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ টাকা দিতে হবে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক শ্যামল ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সেতু বিভাগ কর্তৃক মধুমতি সেতু পারাপারে যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে, তার আওতায় বড় ট্রেলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০, দুই এক্সেল বিশিষ্ট মাঝারি ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫, মিনিবাস বা কোস্টারের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
মাইক্রোবাস, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রেকার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫, অটোটেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেলের ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নড়াইলে দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতি সেতু নির্মিত হয়েছে যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। তবে ২৭ দশমিক ১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চ গতির লেন ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয়টি লেন রয়েছে। তবে এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।