দ্বিতীয় দফার বন্যার সপ্তাহ দুয়েক পেরিয়ে গেলেও সিলেটবাসীর মুক্তি মিলছে না। ১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় এখনও পানির নিচে পাঁচটি উপজেলা।
পরিবেশবিদ এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে জলাশয় দখল হওয়ার কারণেই পানি নামতে সময় লাগছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জে আবারও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলে আবারও বন্যার শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গেল কদিন ধরে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছিল। তবে গত বুধবার থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করে ব্রহ্মপুত্র,তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির শঙ্কা রয়েছে।
বন্যার এমন সময়ে বাংলাদেশে ৭০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি ত্রাণ দরকার বলে জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি)।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, বাংলাদেশে স্মরণকালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে এবার। শতশত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
সিলেটে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে সবই সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা শতভাগ বিতরণ করতে পারেননি। ত্রাণ যেন দ্রুততার সঙ্গে মানুষের হাতে পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।