পদ্মা সেতু চালুর পর ন্যায্যমূল্য পেতে খুলনা অঞ্চলের কৃষকদের ভোগান্তি কমে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট নেমে আসবে প্রায় শূন্যের কোটায়।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন ভোরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এই মেগাস্ট্রাকচার।
সেতুটি চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন খুলনার মাছ ব্যবসায়ী মিরাজুল শেখ। তিনি দেশ টিভিকে বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ভোররাতে ট্রাকে ঢাকায় মাছ পাঠাই। চিন্তায় থাকতে হয়। ঘাটে জ্যাম পড়লে একদিনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যায়। বিপদ এড়াতে নানা জায়গায় টাকা দিয়ে তাড়াতাড়ি ঢাকায় মাছ পাঠানোর চেষ্টা করতে হয় আমাদের।’
আরেক ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে স্বল্প সময়ে যোগাযোগ করা যাবে। খুলনা থেকে ঢাকায় মালামাল পৌঁছাতে পদ্মার পাড়ে গিয়ে কখনো ২০ ঘণ্টা বা কখনো এর বেশি সময় বসে থাকতে হয়। সেতু চালু হলে ওই ভোগান্তি আর থাকবে না।’
‘উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও মাছ দ্রুত সময়ে রাজধানীতে যাওয়ার ফলে কৃষক ও মৎস্যজীবীরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন। সবচেয়ে বড় কথা, মধ্যস্বত্বভোগীরা আগে যে সুবিধাটা নিত, সেটি এখন কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাবেন।’