প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় ৬টি খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।
নতুন আইন অনুযায়ি, সিইসি-ইসি হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কমপক্ষে ৫০ বছর বয়স হতে হবে। সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগে কমপক্ষে ২০ বছর কাজ করতে হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনের আলোকে রাষ্ট্রপতি একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেবেন। এ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি এ সুপারিশের আলোকে নিয়োগ প্রদান করবেন। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আইনটি আইন মন্ত্রণালায়ের মাধ্যমে ভেটিং শেষে সংসদে পেশ হলে নতুন কমিশন এ আইনের আওতায় হতে পারে। আগের নির্বাচন কমিশনগুলো এ আইনে অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটি হবে ছয় সদস্যের। প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের এক জন এবং হাইকোর্ট বিভাগের এক জন বিচারপতি, পিএসসি চেয়ারম্যানের মনোনীত এক জন পিএসসি সদস্য, অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেলের মনোনীত এক জন এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক, এ ছয় জনকে নিয়ে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সুপারিশ করবে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন ও যাচাই বাছাই করে গেজেট প্রকাশের সুপারিশ করার ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। জাতীয় লবণ নীতি ২০২১ ও বাংলাদেশ গ্যাস বিল ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন আইনের খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার কথাও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে। / ডি