খাদ্যপণ্যে ভেজাল মিশ্রণকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে— জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণসহ ভেজাল পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সাড়ে ৫ বছরে শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত সারাদেশে সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করেছেন বলেও জানান তিনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, এ সংক্রান্ত অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ফরমালিনের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণ, জনসচেতনতা, নিয়মিত বাজার তদারকি এবং ফরমালিন আমদানি, বিক্রয় ও ব্যবহার তদারকির কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ভেজাল পণ্য ও ওষুধ বিক্রির অপরাধে ৮ হাজার ৭৯৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে। খাদ্যপণ্যে ফরমালিন মেশানোয় ১৮৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফরমালিন মেশানো ফল, মাছ বিভিন্ন স্পটে ধ্বংস করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির কারণে ৪৬৩টি ফার্মেসিকে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, মৌসুমি ফলে রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রণ প্রতিরোধে সারা দেশে প্রতিদিন ১৪-১৫টি মনিটরিং টিমের মাধ্যমে বাজার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া, ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা ও ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়েছে।
খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সরকারের নেয়া কার্যক্রমে ভোক্তারা সুফল পেতে শুরু করেছেন বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।