বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনার পাশাপাশি উভয় দেশের নেতৃত্ব পর্যায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে প্রয়োজন দুই দেশের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করার পথ প্রশস্ত করার এবং পারস্পরিক সমমর্যাদা না থাকলে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। শনিবার বাংলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব অভিমত তুলে ধরেন বিশিষ্টজনেরা।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে প্রতিবেশি এ রাষ্ট্রটির অবস্থানসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বে যেসব বিষয় মিশে আছে সেসব বিষয়ে শুধুমাত্র আলোচনা করলেই হবে না প্রয়োজন দুইটি দেশের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলন সভাপতি মুনতাসির মামুন বলেন, ‘দুইটি দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চা না হলে এ দুই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। দুই দেশে অবাধ বাণিজ্য না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা যেভাবে বাধা পাচ্ছি বিভিন্ন শুল্কের করণে ভারতের কাছে বা পানি সমস্যা যেটা হচ্ছে বা সীমান্ত সমস্যা হচ্ছে সেগুলো যদি আমরা আলোচনা না করি এবং সমাধানের পথ না বের করি তাহলে কিন্তু আমরা এগুতে পাবো না।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, একে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জন্য একটি বন্ধু প্রতীক দেশ। এ দেশে দুইটির মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। অন্যের কথায় কান না দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আন্তসম্পর্ক উন্নয়নে শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে।’
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যেগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও এ সময় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ায় বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন অতপ্রতোভাবে জড়িত। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে সাফল্য অর্জনের জন্য দুই দেশের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’