রানা প্লাজা ধসে বহুশ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার একবছর পরও বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তারা।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, একদল জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে তাদের এ উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশ না করে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখছি। এর মধ্যে ইউনিয়ন নিবন্ধন, সমন্বিত অগ্নি ও অবকাঠামোগত নিরাপত্তার মান এবং পরিদর্শক নিয়োগ বাড়ানোর বিষয়গুলো রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রম অধিকার ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ এখনো রয়েছে। এখনো অনেক কাজ করার রয়েছে। বিশেষ করে আইনগত বিষয়ে।
ওই কর্মকর্তা জানান, রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কারখানার নিরাপত্তার প্রশ্নটি প্রকৃত অর্থেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছে এখন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরেক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে গত বছরের জুনে জিএসপি-সুবিধা বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। তৈরি পোশাক খাত জিএসপি-সুবিধার অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশটির অর্থনীতির ওপর এই পদক্ষেপের প্রভাবও সীমিত। কিন্তু জিএসপি-সুবিধা বাতিল করে বাংলাদেশকে একটি কড়া ও পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
দ্বিতীয় মার্কিন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের শেষ দিকে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওই অগ্রগতি জিএসপি-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট নয়। চলতি বছরের জুনে আরেক দফা মূল্যায়ন করা হবে।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে প্রায় এক হাজার ১০০ জন শ্রমিক নিহত হন। সূত্র: প্রথম আলো।