রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এদিকে, বুধবার বিকেলে এ ঘটনায় রমনা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা নেয়া হয়েছে।
নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ থাকলেও হাসপাতালে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজে যোগ দেন সকালে।
এর আগে সকালে চিকিৎসকরা এক সংবাদ সম্মেলনে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা বলেন।
ওই সময় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পক্ষে ডা. আহমেদ সালাম মীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, সিসিইউ এবং পূর্বে ভর্তিকৃত রোগীদের সেবা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
ডা. আহমেদ সালাম মীর বলেন, আমরা চিকিৎসকার কর্মবিরতি পালন করতে চাই না। রোগীদের সেবা দিতে চাই। তবে নিজেরা নিরাপত্তাহীনতায় থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর বেলা সোয়া ১২টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টা শাহবাগ চৌরাস্তায় সড়ক অবরোধও করেন চিকিৎসকরা। হলি ফ্যামিলি, বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় বেশ কিছুক্ষণের জন্য শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে তা প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, বারডেমে পুলিশের সামনে চিকিৎসকে মারধরের ঘটনায় রমনা থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা নেয়া হয়েছে।
এরআগে, বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
সকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় রোগীদের যেন দুর্ভোগ না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করতে চিকিৎসকদের প্রতিও অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
গতকাল বারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, রমনা থানার পুলিশদের আমরা ডেকেছি তারা এসেছে। রোগীর স্বজনেরা পুলিশদের সরিয়ে দিয়ে ডাক্তারদের রুমে ঢুকে কথা বলার নাম করে গালাগালি করে ও তাদের মারধর করেছেন।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ জন্য রোগীর স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনে। পরে এ নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায় চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরইজের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।