নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হলে সরকারকে এ খাতে প্রণোদনা দিতে হবে— এ কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুৎ তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির স্বাধীনতা না থাকলে উদ্যোক্তারা এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না।
রোববার রাজধানীতে বিদ্যুৎ ভবনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়ণ বিষয়ে আয়োজিত সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর বিশেষ গুরত্ব দিচ্ছে। এ খাতে কেউ বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে,সরকার প্রণোদনা দিতে প্রস্তুত আছে ।
জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প উৎস সৌরশক্তি, বায়ু ও পানি। যা থেকে সরকার ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেমিনারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয় কোনো বেসরকারি উদ্যোক্তা এ খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর উৎপাদিত বিদ্যুৎ শুধু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও সরকারি বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করতে পারবে।
তবে নীতিমালায় উল্লেখিত এসব শর্ত উদ্যোক্তা ও বিতরণ সংস্থা উভয়েকই নিরুৎসাহিত করবে বলে মত দেন সেমিনারের বক্তারা।
এ খসড়ায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) ক্ষমতা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, ২৫০ কিলোওয়াট থেকে পাঁচ মেগাওয়াট পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। শুধু বিইআরসি থেকে একটি ওয়েভার সার্টিফিকেট নিলেই চলবে।