দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন বার বার পরিবর্তনের কারণে দুদকের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি যুগোপযুগী আইন প্রনয়ন করা উচিৎ বলেও জানান তিনি। রোববার কমিশন কার্যালয়ে দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত রিফ্রেসার্স কোর্সে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্তের সময় দুদক কর্মকর্তাদের যে ঘাটতির কারণে বেশিরভাগ তদন্তই ফলপ্রসু হয় না, এ কোর্স সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করবে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি।
খায়রুল হক বলেন, ‘বার বার যদি আইন পরিবর্তন করা হয় তাহলে কিন্তু আমরাই নিজেরাই দিদ্ধায় পড়ে যাই যে আসলে আইন কোনটা। জজ সাহেবরাও দিদ্ধায় পড়ে যাবেন ও আনইনজীবীরা আরো বেশি দিদ্ধায় পড়বেন। যে কোনো অ্যামেন্ডমেন্ট করতে হলে একটু চিন্তা-ভাবনা করে করাই ভালো। দুই দিনে না করতে পারি, দুই সপ্তাহ বা দুই মাস কিন্তু এমনভাবে না করতে হয় যে সকালে করে আবার বিকেলে আরেকটি অ্যামেন্ডমেন্ট আনতে হয় এইটা কিন্তু ঠিক না।’
এদিকে, দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদ্যমান দুদক আইনকে ‘যুগোপযুগী’ আর এ আইন অনুযায়ী চললে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তবে দুদকের বর্তমান যে আইন রয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করলে দুদকের কার্যক্রম ব্যাহত হবে না।
আনিসুল হক বলেন, ‘অ্যানকোয়ারি ও ইনভেস্টিগেসনের মধ্যে যদি স্বচ্ছেতা থাকে। অ্যানকোয়ারি ও ইনভেস্টিগেসন দুদক আইন এবং দুদক বিধি মালার মধ্যে যা আছে সেইটাকে মেনে চলে তাহলে পরে ফ্যাকফাইন্ডিংয়ের কোনো অসুবিধা হবে না। আর দুদকের মামলাতেও কোনো অসুবিধা হবে না।’
দুদক আইনে যেসব সমস্যা রয়েছে তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হবে বলেও জানালেন আইনমন্ত্রী।