চট্টগ্রামে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ১২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের বির্তকিত পাঁচ সিপাহীও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম (সদর) কমান্ড্যান্ট (অঃ দঃ) সত্যজিৎ দাশ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বদলি করা হয়। আদেশে বলা হয় প্রশাসনিক স্বার্থে এ বদলি।
যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের অনেকেরই বিরুদ্ধে টিকেট কালোবাজারি, দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে হলেন- রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সিপাহী শাহাদাত হোসেন, রেজাউল করিম, আসাদুজ্জামান, শামসুল আলম, শাকিল খানকে চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম, আখাউড়া, পাহাড়তলী ও সিজিপিওয়াইতে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া লাকসামের মাসুম বিল্লাহ ও কামরুল হাসানকে পাহাড়তলী স্টেশনে, ঢাকার জুয়েল রানা ও মজিবুর রহমানকে ভৈরববাজারে, আখাউড়ার মোহাম্মদ আলীকে আখাউড়ারর আইবিতে এবং সিজিপিওয়াইয়ের হিমেল দেওয়ান ও রানা ভট্টাচার্যকে চট্টগ্রাম আইবি ও শ্রীমঙ্গলে বদলি করা হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চীফ জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যম বলেন, টিকেট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার রেলওয়ে প্রশাসন। রেলমন্ত্রী, সচিব, ডিজিসহ উর্ধতন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনাও দেয়া রয়েছে। যার ফলে যাত্রীসেবাসহ সকল প্রকার নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়েও সর্তক অবস্থানে দায়িত্বশীলরা। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমরা জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে কাজ করছি।
এর আগে, টিকেট কালোবাজারির অভিযোগে রোববার (৩ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আরএনবির দুই সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আটকরা হলেন-স্টেশনে দায়িত্বরত হাবিলদার মো. রবিউল ইসলাম ও সিপাহি মো. ইমরান। আটকদের কাছ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সোনার বাংলা ট্রেনের নয়টি টিকিট পাওয়া যায়।