পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা বন্দরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোয়ার আসার স্বপ্নে বিভোর স্থানীয়রা। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলছেন, তারা ইতিমধ্যে একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করেছেন।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন ভোরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এই মেগাস্ট্রাকচার।
সেতুটি হয়ে গেলে মোংলা বন্দরে যেন চাপ না পড়ে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘আমরা মোংলা বন্দরের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি, যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। গেল অর্থবছর মোংলায় ৯৭০টি জাহাজ এসেছে। এই মুহূর্তে আমাদের ১ হাজার ৫০০ জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা আছে। ২০২৫ সাল নাগাদ সেটি দ্বিগুণ করার কাজ চলছে। কার্গো-কনটেইনার হ্যান্ডলিং সহজ, দ্রুত ও জটমুক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের ৭৫টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর এখন গিয়ারলেস কনটেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আরও দুটি নতুন জেটি তৈরি হচ্ছে।’
তিনি জানান, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ৬ হাজার কোটি টাকার একটি আপগ্রেডেশন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর এর কাজ শুরু হবে। ড্রেজিং, সহকারী জলযান ক্রয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ ছয়টি প্রকল্পের কাজ চলছে। বড় জাহাজ আসার জন্য খনন চলছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।