সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলানের নামাজেরগড় মাঠ এলাকায় সোমবার পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফজলুল হক (৩০) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, ফজলুল হক বনদস্যু জিয়া বাহিনীর সদস্য। তাঁর বাড়ি মৌতলা গ্রামে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে—এমন খবরের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ মৌতলা গ্রামের নামাজগড় এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়েছে। একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ওসি বলেন, গুলিবিদ্ধ ফজলুল হক সুন্দরবনের বনদস্যু জিয়া বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর থানায় অস্ত্র, দস্যুতার অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। আলামত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত বোমা, একটি দা ও কিছু বিস্ফোরিত বোমার টুকরো উদ্ধার করা হযেছে।
গুলিবিদ্ধ ফজলুল হক বলেন, একসময় সুন্দরবনের বনদস্যু জিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এখন বরিশালে ইটভাটায় কাজ করেন। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি এসেছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। সারা দিন তাকে কালীগঞ্জ থানার ভেতর আটকে রাখে। ভোরের দিকে চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে নিয়ে তার বাঁ হাঁটুর নিচে গুলি করে পুলিশ।
তার দেয়া তথ্যমতে, সুন্দরবনে ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।