নাটোরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে জামাত-শিবিরের দুইশত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক–এসআই নূরুল আলম বাদি হয়ে দ্রুত বিচার ও প্যানেল কোড আইনে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ দুই শতাধিক জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাতে অভিযান চালিয়ে ৩নং ওয়ার্ডে জামাতের সভাপতি শাহ আলমসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল জামাত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ২৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় জামাত-শিবিরের ৪ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়।
নাটোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামাত–শিবিরের নেতা-কর্মীরা শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে মিছিল বের। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক নূর আলম আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৯ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজামী-সাঈদীসহ আটক জামাত নেতাদের মুক্তির দাবিতে নাটোর শহর জামাত মিছিল বের করে। চকরিয়া এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শামসুল ইসলাম ও জামাতের কর্মী শাহাবুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে আহত হন আরও ১৮ জন। জামাত-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ও এসআই নুরুজ্জামানসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন।