নাটোরে জামাত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সোমবার দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ২৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জামাত-শিবিরের ৪ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
নাটোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামাত –শিবিরের নেতা-কর্মীরা শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে মিছিল বের। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক নূর আলম আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৯ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ বলে জানান তিনি।
নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, মিছিলে ১৪টি রাবার বুলেট ও নয়টি কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জামাত-শিবিরের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শামসুল ইসলাম ও জামাত-কর্মী শাহাবুদ্দিন। তাদের মধ্যে শামসুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নাটোর মিশন হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজামী-সাঈদীসহ আটক জামাত নেতাদের মুক্তির দাবিতে নাটোর শহর জামাত মিছিল বের করে। চকরিয়া এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা শামসুল ইসলাম ও জামাতের কর্মী শাহাবুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে আহত হন আরও ১৮ জন। জামাত-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন ও এসআই নুরুজ্জামানসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ঘটনার সময় পুলিশ আশপাশের বাড়ি ও স্কুলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে নাটোর শেরে বাংলা উচ্চবিদ্যালয় ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের মধ্যে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ নূর, মাহিদ শেখ ও নবম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছে।