বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতারা। শুক্রবার তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ সিরাজগঞ্জে স্বাধীনতা স্কয়ারে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।
এ সময় নেতারা দুদেশের অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সবাইকে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিস্তাসহ ভারত ও বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার পর এবার তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ করছে সিপিবি ও বাসদ। এসময় বক্তারা ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও সরকারের সমালোচনা করেন।
সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুরে বগুড়া পৌঁছায় লংমার্চটি। সেখানে সমাবেশ শেষে আবারো তিস্তা অভিমুখে যাত্রা করেছে তারা।
উত্তরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির বিকাশে ১৯৯৮ সালে লালমনিরহাটের দোয়ানিতে নির্মাণ করা হয় দেশের সবচেয়ে বড় ‘তিস্তা সেচ প্রকল্প’। এরপর কিছুদিন কৃষকেরা পানি পেলেও কয়েক বছর ধরে গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে তিস্তা নদী থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী শীত মৌসুমে তিস্তায় পানির প্রবাহ ছিল ১৪ হাজার কিউসেক। ভারতের গজলডোবা ব্যারেজে পানি প্রত্যাহার শুরু হলে তা নেমে আসে ৪ হাজার কিউসেকে। এখন যা নেমে এসেছে ৫০০ কিউসেকে। ফলে তিস্তা পরিণত হয়েছে ধূ ধূ বালির প্রান্তরে। পর্যাপ্ত সেচের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তা অববাহিকার জমির ফসল।
বিভিন্ন সময় নানাপর্যায়ে ভারতে সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হলেও দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়নি কোনো চুক্তি। ২০১১ সালে অনেক আশা করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির মুখে আটকে যায় তিস্তা চুক্তি।