চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। যে কয়জন ডাক্তার আছেন তাদেরকে পাওয়া যায় দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের নির্ভর করতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকের ওপর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৪০% চিকিৎসকের পদই শূন্য আছে।
চিকিৎসকের ১৫২টি অনুমোদিত পদ নিয়ে ২০১০ সালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও এখনো পর্যন্ত চিকিৎসকের ৬৯টি পদই শূন্য। জরুরি বিভাগে নেই মেডিকেল কর্মকর্তা। ডিউটি ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই রোগীর তুলনায় কম জনবল নিয়ে চলেছ হাসপাতালটি। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ঠিকমতো সেবা তো পাচ্ছেই না বরং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না ডাক্তারের দেখা।
চিকিৎসা নিতে আসা বেশীরভাগ রোগী গরীব হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, ‘আমরা সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য এখানে আসছি, আমরা গরীব মানুষ, বড় জায়গায় চিকিৎসা করাতে না পেরে এই মেডিকেলে এসেছি এখানে এসেও কোনো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছিনা।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. আব্দুল ওহাব হাওলাদার বলেন, ‘কেবল দিনাজপুর জেলা নয় আমাদের এখানে ঠাকুরগাও, জয়পুরহাটের মানুষও এখানে সাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। আমাদের যে জনবল আছে সে জনবল দিয়ে আমরা মানসম্মত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বর্তমান জনবল নিয়েই চিকিৎসা সেবা দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
আগামী ২ মাসের মধ্যে সব সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।