এবছর একুশে পদক পেয়েছেন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও নাট্যকার নিখিল সেন।
যিনি প্রত্যক্ষ করেছেন বর্তমান সময়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন প্রজন্মকে মননশীল সংস্কৃতির ধারায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিখিল সেন। একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও নাট্যকার। ১৯৩১ সালে বরিশালের কলস গ্রামে তার জন্ম। পিতা যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মাতা সরোজিনী দেবী।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিখিল সেন বিচরণ শৈশব থেকেই। ১৯৪১ সালে নিজ গ্রামের স্কুল মাঠে "সিরাজের স্বপ্ন" নাটকের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবনের শুরু। বর্ণাঢ্য জীবনে একে একে ৩১টি নাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সে সময় আবৃত্তিতেও রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর।
এছাড়া এক সময় সেতারে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সমাজতান্ত্রিক আদর্শের একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ায় পাকিস্তান আমলে তিন বার কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি সংগ্রামেরও তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক।
মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর একুশে পদক পান নিখিল সেন। জ্যেষ্ঠ এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনে করেন নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি মননশীল ও জাগরণমুখী চেতনাকে আঁকড়ে ধরতে হবে।