মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের যে কয়টি স্থান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এর মধ্যে কুমিল্লার লাকসাম বধ্যভূমি অন্যতম। সেই বেলতলী বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও এর চারপাশে সীমানা প্রাচীর দিয়ে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ- ১১ ডিসেম্বর, সোমবার- কুমিল্লার লাকসাম মুক্ত দিবস।
১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধারা লাকসামকে শত্রু মুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের কঠিণ সাক্ষ্যবহনকারী লাকসাম বেলতলী বধ্যভূমিটি যথাযথ সংরক্ষণ ও স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
একাত্তরের সালের ১৫ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা প্রথম দিকেই দখলে নেয় কুমিল্লা লাকসাম রেলওয়ে জংশন। যুদ্ধচলাকালীন সময়ে লাকসাম রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন থ্রি-এ সিগারেট ফ্যাক্টরিতে হানাদার বাহিনী মিনি ক্যান্টমেন্ট স্থাপন করে।
রাজাকার, আলবদরের সহায়তায় নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা থেকে ট্রেনে করে আসা নিরাপরাধ নারী-পরুষকে ট্রেন থেকে নামিয়ে মিনি ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে শারিরীক ও যৌন নির্যাতন শেষে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর বেলতলী বধ্যভূমিতে মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হয়। বধ্যভূমিটির সীমানা প্রাচীর না থাকায় গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, বেলতলী বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও এর চারপাশে সীমানা প্রাচীর দিয়ে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতির দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।