শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ। পুরাণ মতে ত্রেতা যুগে লঙ্কার রাজা রাবণকে বধের জন্য রামচন্দ্র সপ্তমীর এ ক্ষণে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। দেশজুড়ে ষষ্ঠীতে মণ্ডপে অধিষ্ঠানের পর সপ্তমীতে শুরু হলো দুর্গা পূজার মূল অনুষ্ঠান।
ভক্তের আরাধনা, ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ, আর উলুধ্বনিতে উৎসবমুখর পূজামণ্ডপ। উৎসবে শামিল হয়েছেন সকলে।
ষষ্ঠীতে দেবী দূর্গার অধিষ্ঠান হলেও মহাসপ্তমী পূজার মধ্য দিয়েই শুরু হয় সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড়ো দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সপ্তমীর সকাল বুধবার থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা দিয়েছে ভক্তদের ভিড়।
ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ-কাসর ধ্বনি আর মন্ত্র ও শাস্ত্রপাঠের পাশাপাশি দর্শণার্থীদের কোলাহলে মুখরিত এখন রাজধানীর প্রতিটি পূজা মণ্ডপ।
সপ্তমীতে বিভিন্ন মঙ্গল উপাচারের মাধ্যমে দেবীকে নিবেদন করা হয় ভক্তদের নৈবেদ্য। বেলতলা থেকে মূল মন্দিরে প্রবেশের পর সপ্তমীর প্রথম প্রহরে নবপত্রিকা স্থাপন এবং কলাবউকে স্নান করানোর পর ষোলটি উপাদান দিয়ে শুরু হয় মূল পূজা।
সারাদেশের মতো খুলনা বিভাগেও মহা সমারোহে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। নগরীর ১২৩টি এবং জেলার নয়টি উপজেলায় ৮২০টি মন্দিরে এবার দুর্গাপূজা হচ্ছে।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব চলছে রাজবাড়িতেও। দেবীর আরাধনা করে সন্তুষ্টি লাভের জন্য ফুল বেলপাতা দিয়ে দেবীর পায়ে দেয়া হয় অর্ঘ্য।
নাটোরে সকালে মন্দিরগুলোতে দেখা যায় ভক্তদের ভীড়। শঙ্খ ধ্বনী আর ঢাকের শব্দে মুখরিত পূজা মণ্ডপগুলো।
এছাড়া কুমিল্লা, নেত্রকোণা, নড়াইল, যশোরসহ সারাদেশের মণ্ডপগুলোতে সপ্তমী পূজার নানা আনুষ্ঠানিকতা চলছে। শান্তি ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিটি জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন।