পবিত্র ঈদুল আজহা কাল- শনিবার। ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
ভোগ নয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের সাধ্যমতো পশু কোরবানি দিয়ে ত্যাগের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী মাংস বিলিয়ে দেন দুঃস্থ-অসহায়দের মধ্যে। আত্মত্যাগের দীক্ষার সঙ্গে বিসর্জন দেন কুপ্রবৃত্তিকেও।
বান্দা তার সৃষ্টিকর্তার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন; তারই পরীক্ষা নিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তাআলা। হজরত ইব্রাহিমের (আ.) ওপর নির্দেশ ছিলো কোরবানি করতে হবে সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে উদ্যোগ নেন প্রিয়তম সন্তান হজরত ইসমাইল কে কোরবানি করার। কিন্তু তার বদলে কোরবানি হয় একটি দুম্বা।
এরপর থেকেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আযহার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন মুসলমানরা।
তবে, ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি দেয়ার বিধান রয়েছে। পশু কোরবানি দেয়ার বিষয়টি আসলে প্রতীকী; মূলত আত্মত্যাগের শিক্ষা আর মানুষের ক্রোধ, মোহ, লোভসহ যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি বিসর্জন দেয়াই কোরবানির মূল উদ্দেশ্য।
মূল উদ্দেশ্যের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উৎসর্গের মানসিকতার বাইরে যেন ভোজনের উৎসব না হয় কোরবাননি- এমন নির্দেশও রয়েছে হাদিসে। নির্দেশনা আছে অসহায়-দুঃস্থদের যথাযথ প্রাপ্যটুকু বুঝিয়ে দেয়ারও।
শুধু পশু জবাই নয়, কোরবানির মধ্য দিয়ে ত্যাগ আর মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্যই হয়ে উঠুক মুখ্য-এটাই ইসলামের শিক্ষা।