জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন ঈদগা, খোলা মাঠ ও মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত।
শুক্রবার সকাল ৭টায় প্রথম জামাতসহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে মোট ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এ নামাজ আদায়। খুশির দিনে সাধারণ মানুষের চাওয়া, ভেদাভেদ-বিদ্বেষ ভুলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় আসবে দেশ এমনটাই প্রত্যাশা করেন সবাই।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জামাত। মসজিদ ছাড়িয়ে সামনের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ভিড়। ধনী-গরীব ভেদাভেদ ভুলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রে আদায় করেন ঈদের নামাজ।
নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে নিজের ও দেশের জন্য মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে রীতি অনুযায়ী কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা। আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন একে পরের সঙ্গে। এ যেন শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে ত্যাগের এক মহা উপলক্ষ। ছোটরাও বাদ পড়েনি এ আনন্দের সঙ্গী হতে।
এমন খুশির দিনে রাজনৈতিক নেতারাও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা।
এদিকে, রাজধানীর পাশাপাশি সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মসজিদ-ঈদগাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এবারো সব থেকে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন এ জামাতে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির শান্তির দোয়া করা হয়। পরে পশু কোরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বরাবরের মত এবারো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের প্রধান ঈদ-জামাত। সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ হাজারো মুসল্লি এতে অংশ নেন।
সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে। এছাড়া, হযরত শাহজালাল দরগাহ প্রাঙ্গন ও কালেক্টরেট জামে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। জামাতে সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
হযরত শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীর প্রধান ঈদ জামাত।
বরিশালে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহে। এছাড়া, চরমোনাই দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয় নগরীর অন্যতম বৃহৎ ঈদ জামাত।
খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। এতে অংশ নেন সব শ্রেণী পেশার মানুষ।
ফরিদপুরের চানমারী ঈদগাহ ময়দানে কেন্দ্রীয় জামাত অনিষ্ঠিত হয়। এছাড়া আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও চন্দ্রপাড়া দরবার শরিফে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেন।
ঈদের জামাত শেষে দেশ ও জাতি এবং মুসলীম উম্মাহর শান্তি কামনা করে কুড়িগ্রামের সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতেও অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।
এছাড়া কুমিল্লা, নড়াইল, শেরপুর, নাটোর, নেত্রকোনা, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ধামরাই, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।