স্থানীয় প্রভাবশালীদের দৌরাত্মে হারিয়ে যেতে বসেছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতার নির্দশন অনেক বৌদ্ধ মন্দির ও স্থাপনা–পটুয়াখালী ও বরগুনার রাখাইন এলাকা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন নাগরিক প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক প্রতিনিধি দল এ সম্প্রদায়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সকালে রির্পোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে রাখাইনদের দুঃখ দুর্দশা আর মানবেতর জীবন-যাপনের চিত্র তুলে ধরেন তারা।
এ সময় কলামিস্ট আবুল মাকসুদ বলেন, জমি দখল, লুটপাট, সন্ত্রাসী হামলা-মামলা আর নিরাপত্তাহীনতায় হারিয়ে যাচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়, দেশ ছাড়তে ছাড়তে এ সম্প্রদায়ের সংখ্যা এক লাখ থেকে নেমে এসেছে তিন হাজারে।
প্রায় তিনশো বছর আগে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বসবাস শুরু করে রাখাইন সম্প্রদায়। পটুয়াখালী, গলাচিপা, বরগুনা, তালতলা, কুয়াকাটার বিস্তৃীণ এলাকা জুড়ে প্রায় তিনশোটি গ্রামে তাদের বসবাস ছিল। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দৌরাত্মসহ নানা প্রতিকৃলতায় এখন টিকে আছে মাত্র ৫০টি গ্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন রাখাইনদের দুঃখ দুর্দশা আর মানবেতর জীবন-যাপনের চিত্র।
এতে জানানো হয়, ভূমি দখল, সন্ত্রাসী হামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলাসহ নানান অত্যাচারে গত বিশ বছরে এক লাখ রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন আড়াই হাজার টিকে আছে। এছাড়া সরকারে কোনো সামাজিক কর্মসূচির কোনো সুবিধা রাখাইন সম্প্রদায় পাচ্ছে না বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়া রাখাইনদের জমি পুনুরুদ্ধারসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক প্রতিনিধি দলের নেতারা। একই সঙ্গে তাদের সংস্কৃতি, পেশা ও ঐহিত্য রক্ষারও সুপারিশ করেছেন তারা।