মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের বেরিয়ে এসেছে ১০০০ বছরের প্রাচীন বিশাল আকৃতির প্রায় ১০ একর দেউলে। পাওয়া গেছে বৌদ্ধ মন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, ইট নির্মিত নালা, রাস্তা। এ আবিস্কারের ফলে আরো সমৃদ্ধ হলো ইতিহাস ও প্রাচীন জনপদের বিক্রমপুর। রোববার নাটেশ্বরের এ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিদর্শনে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। ঘুরে ঘুরে দেখেন এসব নিদর্শন।
চীনের সহযোগিতায় এ প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে কাজ করছে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন। এতে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।
এক সময়ের বঙ্গ ও সমতটের রাজধানী বিক্রমপুর এখন পরিচিত মুন্সিগঞ্জ জেলা নামে। মুন্সিগঞ্জ সাক্ষী হয়ে আছে হাজার বছরের প্রাচীন অনেক ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদের। এ নিদর্শন আবিষ্কারে চীন সহযোগিতা করতে পারায় বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
প্রায় ৪ মিটার প্রশস্ত সীমানা প্রাচীর বিশিষ্ট ২ জোড়া চতুর্থস্তুপ বাংলাদেশের স্তূপের ইতিহাসে একটি অভিনব সংযোজন বলে বিক্রমপুর অঞ্চল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ড. সুফি মোস্তফিজুর রহমান।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজে নিজের ৫ একর জমি ছেড়ে দিলেও প্রাচীন এ নিদের্শন আবিষ্কারে খুশি নরেশ চন্দ্র দাস।
এর আগে ২০১০ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খনন কাজ শুরু পর ২০১৩-১৪ সালে আবিষ্কৃত হয় মন্দির ও স্তূপ স্থাপত্যের অংশ বিশেষ।