অনুমতি ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে সরকারের বিধি-নিষেধ চরম বিদ্বেষ ও বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। বুধবার সকালে রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তারা।
একইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের নাম পরিবর্তন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রাক্তন শান্তি বাহিনীর সদস্যদের সমতলের জেলাগুলোতে স্থানান্তরেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী বলে মনে করছেন তারা।
গত ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশিদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম মনিটর, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের নাম পরিবর্তনসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।
এসব সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গোলটেবিল আলোচনায় তারা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে কারাগারে রূপান্তরিত করতে চাইছে সরকার— দফায় দফায় বিধিনিষেধ আরোপ করে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধীদের জন্য অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, সমাজ সেবী হামিদা হোসেন ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য ও কলামিস্ট আবুল মকসুদ সরকার এ আহ্বান অগ্রাহ্য করলে ঊচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।