লাখো শহীদের রক্ত আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে পার হলেও নির্যাতিত মা-বোনদের কথা আজও অনেকের অজানা। অনেকেই পাননি তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি। এমনই একজন দিনাজপুরের আঞ্জুয়ারা বেওয়া। বিয়ের তিন দিনের মাথায় পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। বর্তমানে তাঁর দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।
১৯৭১ সালের জুন মাসে দেশ যখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে তখন মাত্র ১৫ বছর বয়সে দিনাজপুরের নতুনপাড়ায় বিয়ে হয় আঞ্জুয়ারা বেওয়ার। এর ঠিক তিন দিনের মাথায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হামলা চালায় তাদের বাড়িতে। তার স্বামী, শ্বশুর, দেবরসহ অন্যান্যদেরকে হত্যা করে তারা। আর আঞ্জুয়ারা বেওয়াকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় খানসেনাদের ক্যাম্পে। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের পাশবিক নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়া হয় তাঁকে।
পরে খানসামা উপজেলায় আজিজার রহমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। চার ছেলে ও এক মেয়ের জন্মের পরই মারা যান আজিজার রহমান। সেই থেকে অভাব-অনটনের সঙ্গেই দিন কাটছে তাঁর। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কখোনো কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। পাননি তাঁর সম্ভ্রম হারানোর স্বীকৃতি।
ছেলে-মেয়েরাও দেখাশোনা করে না আঞ্জুয়ারা বেওয়ার। বর্তমানে তিনি আছেন স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানের (রইসুল ইসলাম) কাছে।
বিষয় আঞ্জুয়ারা বেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করে তার সম্মানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আলম।