মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত লগ্নে ভারত সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ায় ভেঙে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মনোবল। প্রবল হতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মবিশ্বাস। মিত্রবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তারা একে একে দখল করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। ৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় শেরপুর, গোপালগঞ্জ, মাগুরা, নোয়াখালী, চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় শেরপুরে ৩০/৪০টি খণ্ড যুদ্ধে বিরত্বের পরিচয় দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে ব্রহ্মপুত্র নদী পাড়ি দিয়ে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় শত্রুবাহিনী।
পরদিন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌর পার্ক মাঠে এক সংবর্ধণা সভায় শেরপুর জেলাকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন।
চারদিক থেকে আক্রমণ চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। গোপালগঞ্জ ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালাতে থাকে শত্রু সেনারা। ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ।
৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর মাগুরায় প্রবেশ করে মিত্রবাহিনী। দফায় দফায় আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী। ৭ ডিসেম্বর শহর ছেড়ে ফরিদপুরে পালিয়ে যায় তারা। লাল সবুজের পতাকা উড়ে মাগুরায়।
দুর্বার প্রতিরোধে নোয়াখালীতে শক্রপক্ষের প্রধান প্রধান ঘাটি ঘিরে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পিটিআই ক্যাম্প দখলে নেয়ার পর মুক্ত হয় নোয়াখালী।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও আক্রমণে চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় হানাদাররা। একই দিনে হানাদার মুক্ত হয় গাইবান্ধা।