প্রভাবশালী মার্কিন রাজনীতিবিদ ন্যানসি পেলোসি তাইওয়ান ত্যাগ করতেই দেশটির সমুদ্রসীমায় নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করলো চীন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় ১২ মাইল এলাকাজুড়ে গোলাবর্ষণ শুরু করে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ান সম্পর্ক বাড়াতে চাওয়ায় চীন ইতিমধ্যে দেশটির ওপর বেশ কয়েকটি বড় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বিবিসির বিশ্লেষক লিখেছেন, নিষেধাজ্ঞা দিলেও এই সামরিক মহড়াই চীনের প্রধান বার্তা।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবিকারী চীন বৃহস্পতিবার বলেছে, `স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে তাদের পার্থক্য একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।‘
চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর বলেছে, `তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী, বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের শাস্তি যোক্তিক ও আইনসম্মত।‘
চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বলেছে, `বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে তাইওয়ানকে বৃত্তাকারে ঘিরে ছয়টি এলাকায় মহড়াগুলো শুরু হচ্ছে এবং এতে গুলিগোলা ব্যবহার করা হবে।’
বেইজিংয়ের ক্রমাগত হুশিয়ারি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফর শুরু করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পেলোসি। বুধবার তিনি অঞ্চলটি ছেড়ে যান।
বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে বিদ্যমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র উসকানিদাতা আর চীন আক্রান্ত পক্ষ।
চীন সরকারের কাছে তাইওয়ান ইস্যু অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাইওয়ানের বেলায় তারা ‘এক চীন নীতি’ অনুসরণ করে। চীনের বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়টিও তাদের ‘এক চীন নীতির’ উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
কিন্তু তাইওয়ান এখন নিজেদের স্বাধীন দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা গড়তে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থায় তিন নম্বরে থাকা পেলোসির তাইওয়ান সফরকে চীন তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং সর্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি বলে বিবেচনা করেছে এবং বলেছে, এর বিরুদ্ধে তারা কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে। চীন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটাই শুরু করলো।