পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা যেনো থামছেই না। দেশটির সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটক করতে যাচ্ছে সরকার- গত কয়েক ঘণ্টায় বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর ছিল এটি। এ নিয়ে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে এখন দৃষ্টি ছিল সবার। শাহবাজ শরিফ সরকারের অনুমতি ছাড়াই ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের ‘আজাদী মার্চ’ কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী নামানোর ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছ সরকার। এমনই এক পরিস্থিতির মাঝে খবর এলো দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে ব্যাপক সহিংসতা ঘটেছে।
জিও টিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়, বুধবার দিনটি ছিল নানা রাজনৈতিক নাটকীয়তায় ভরা। লাহোর কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ এবং পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারীরা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন। পিএলএম-এন সরকার পিটিআই-এর ‘আজাদী মার্চ’ বন্ধ করতে ‘সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা’ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এ পদযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ লং মার্চকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড়’ হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
লাহোর থেকে যেসব পিটিআই নেতাকর্মী ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ সাবেক ইমরান খান সরকারের জ্বালানি মন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা হাম্মাদ আজহারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে; তবে দলীয় কর্মীদের বাধার মুখে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তবে পিটিআই-এর জেলা সভাপতি আলি আসজাদ মালহিকে শিয়ালকোট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে আজহার লিখেছেন, ‘কালা শাহ কাকুর কাছে আমাদের সমাবেশে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ হয়েছে। কিন্তু আমরা ইনশাআল্লাহ এ বাধাও কাটিয়ে উঠব।’