দাবি আদায়ে দিল্লির পাঁচটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের কৃষকরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব নিয়ে করা বৈঠক শেষে কৃষকরা এই হুমকি দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে বিকেইউ ক্রান্তিকারীর (পঞ্জাব) প্রেসিডেন্ট কৃষক নেতা সুরজিৎ এস ফুল বলেন, বুরারির মাঠের জেলখানায় যাওয়া থেকে আমরা দিল্লি পাঁচটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রাজধানী ঘেরাও করব। আমরা চার মাসের রেশন নিয়ে এখানে এসেছি। তাই কোনো চিন্তা নেই। আমাদের অপারেশন্স কমিটি সব বিষয়ে নজর রাখছে।
এর আগে শনিবার কৃষকদের সামনে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসবে কেন্দ্র। আর সরকারের ঠিক করে দেয়া জায়গায় সমাবেশ হলে, এর আগেও আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে তার এই প্রস্তাব মানছেন না বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘শর্ত সাপেক্ষে’ আলোচনায় বসার ওই প্রস্তাবে তাদের পক্ষ থেকে যে কোনো রকম সাড়া মিলবে না রোববার বৈঠকের পর স্পষ্টও করে দিয়েছেন তারা।
কৃষকরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কোনো রকম শর্ত ছাড়া যদি সরকার আলোচনায় বসতে চায়, তাহলেই তারা রাজি।
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও রোববার টুইট করে বিনা শর্তে দ্রুত কৃষকদের সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসতে বলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত কৃষি সংস্কার বিল পাস হয়। কৃষকদের বিক্ষোভ ও বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই এতে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর প্রতিক্রিয়ায়ই ভারতে সবচেয়ে বড় দুই কৃষিভিত্তিক রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় চলা বিক্ষোভ গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত।
নতুন আইনে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাইকারি কৃষিবাজার বাতিল, ফসল ওঠার আগে নির্ধারিত দামে চুক্তিভিত্তিক আবাদ এবং ফসল মজুতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়া হয়েছে। কৃষকের শঙ্কা, এতে ফসলের দাম নির্ধারণ করার ক্ষমতা চলে যাবে ব্যবসায়ীদের হাতে। ন্যায্যদাম পাবেন না তারা।