চীনে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে। রোববার ওই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮৮১ জন।
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা তদারক করতে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খা ছিয়াং নিজে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, রোববার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনান প্রদেশের উয়েনপিং শহর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৬.১ মাত্রার এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৫।
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, গত ১৪ বছরের মধ্যে ইউনান প্রদেশে এতো শক্তিশালী ভূমিকম্প আর ঘটেনি। ভূমিকম্পে লুদিয়ান এলাকার প্রায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝাওটং অঞ্চলের শিয়াওজিয়া এলাকা। এ এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ওই অঞ্চলের বাসিন্দা মা লিয়া সিনহুয়াকে বলেন, ভূমিকম্পের ফলে তাদের এলাকার রাস্তাঘাট এতোটাই চৌচির হয়ে গেছে যে দেখে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। তার বাড়ির পাশেই একটি নতুন দোতলা ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমিক খবরে নিহতের সংখ্যা ২৬ জন বলা হলেও এরপর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। সিনহুয়া দ্বিতীয় দফায় ১৫০ এবং পরে ১৭৫ জনের মৃত্যুর খবর দেয়। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮১ জনে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দুর্গত এলাকায় তাবু ও অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে বলে চীনা গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ, এর আগে ১৯৭০ সালে একই এলাকায় ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।