ভারতের চতুর্থদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোমবার শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। বর্ণাঢ্য এ শপথ অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রশস্ত আঙিনা প্রস্তুত করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন সার্কভুক্ত দেশের নেতারাসহ প্রায় ৪ হাজার অতিথি। ফলে নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নজিরবিহীন নিরাপত্তার বলয়ে সজ্জিত ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন। কারণ হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠান। শুধু তাই নয়, শপথ নিচ্ছেন ২৩ পূর্ণমন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী। সকালে তাদের তালিকাও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম আভাস দিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন অরুণ জেটলি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রাখছেন মোদি।
শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের এ দিনে প্রথমেই রাজঘাটে যান মোদি। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর পূজা-অর্চনা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা অটল বিহারির বাজপেয়ির বাসভবনে যান মোদি।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রশস্ত আঙিনায় এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য এ শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশের নেতারাসহ যোগ দিচ্ছেন প্রায় ৪ হাজার অতিথি। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন প্রতিবেশী দেশের নেতারা।
শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেছেন চির বৈরি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বনির্ধারিত জাপান সফর থাকায় তার প্রতিনিধি হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এরইমধ্যে দিল্লিতে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। আসছেন না কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্দিও।