গত কয়েক মাস যাবত সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে উত্তেজনার পর থাইল্যান্ডে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
বিবিসি সূত্র মতে, সামরিক আইন প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনী নিজেদের ব্যাপক ক্ষমতাও প্রদান করেছে।
সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে বলা হয়, শান্তি ও আইনের শাসন ধরে রাখতে মার্শাল ল’ জারি করা হলো। তবে এটা কোনো ধরনের অভ্যুত্থান নয়।
যদিও সরকারের সমর্থকরা এ সামরিক শাসনকে অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছেন।
সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে থাই একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াতসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকারে ক্ষমতাসীন পেউ থাই পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মূলত দেশটিতে অশান্তির বাতাস বইছে।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিরোধী দল অনির্বাচিত একটি প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২০০৬ সালেও থাই সেনাবাহিনী থেকে সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল।