১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে ক্যানসারের মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। এসব ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কোন ক্যানসারগুলোতে বাংলাদেশের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণের সুবিধার জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের দুটি ভাগে বিভক্ত করেন।
এই দুটি ভাগের একদিকে রাখেন নারী আর অন্যদিকে রাখেন পুরুষ। চিকিৎসকরা সঠিক ক্যানসার পর্যালোচনা করতে বেছে নিয়েছেন পরিণত বয়সের নারী ও পুরুষদের। শিশুদের ক্ষেত্রে এই হিসাবের তারতম্য ঘটায় এই পর্যবেক্ষণে শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এই শ্রেণিবিভাগ অনুসারে বাংলাদেশে বেশি পরিলক্ষিত ক্যানসারগুলোকে চিকিৎসকরা নির্ণয় করতে সমর্থ হন। তাদের মতে, পরিণত বয়সে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসের ক্যানসার। এরপর পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয় হেড অ্যান্ড নেক এরিয়ার ক্যানসারে। সর্বশেষ স্তরে পুরুষরা যে ক্যানসারটিতে আক্রান্ত হয় তার নাম হলো প্রোস্টেট ক্যানসার ও পরিপাক তন্ত্রের ক্যানসার।
পরিপাক তন্ত্রের ক্যানসারগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যনালি, স্টমাক, কোলন এবং রেকটাম অঙ্গগুলোর ক্যানসার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আমাদের দেশের পুরুষরা ধূমপানে অভ্যস্ত থাকায় এসব ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, নারীদের মধ্যে বেশি হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যানসার। চিকিৎসকরা দ্বিতীয় যে ক্যানসারটি নারীদের মধ্যে বেশি লক্ষ করছেন তাহলো জরায়ুমুখে ক্যানসার। সামাজিক লজ্জা, অজ্ঞতা, অরিচ্ছন্নতার মতো কারণগুলোর জন্য এই দুটি ক্যানসারে বাংলাদেশের নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
নারীরা তৃতীয় যে ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তা হলো ওরাল ক্যাভিটি ক্যানসার বা মুখ গহব্বরের ক্যানসার। বাংলাদেশের নারীদের অনেকেরই পান, সুপারি, জর্দা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বাংলাদেশে বেশি দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে কোলোরেক্টাল ও লিভার ক্যানসারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এসব ক্যানসারকে জয় করতে হলে অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনের সঙ্গে রাখতে পারে সুষম খাবার সংবলিত ডায়েট লিস্ট।