বায়ান্নর অনেক আগে থেকেই সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের শাখা গঠন করে সারাদেশেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সভা সমাবেশ চলতে থাকে— কুমিল্লাও এর বাইরে ছিল না।
সেই ভাষা আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখেন নারীরাও। তাদেরই একজন লায়লা নূর— ১৯৪৮ সাল থেকে বায়ান্নর সব আন্দোলনেই তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
১৯৪৮ সালে লায়লা নূর ছিলেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। কুমিল্লা টাউন হলে বাংলা ভাষা বিরোধী এক সভায় প্রতিবাদী বক্তব্যে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিকতা সবার সঙ্গে তিনিও তুলে ধরেন।
লায়লা নূর দেশ টিভিকে বলেন, বাবার চাকরির সূত্রে বাসায় অনেক বই ছিল—পাকিস্তানে বিভিন্ন ভাষাবাসিদের পরিসংখ্যান ভালই জানতাম। তারপর আসে বায়ান্ন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় থেকেই ভাষার জন্য আন্দোলনে যোগ দেই।
সেই দিন থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার ছিলাম শেষ পর্যন্ত জানান লায়লা নূর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৫৫ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে নির্যাতনের শিকারও হতে হয় তাকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের (অব.) শিক্ষিকা ভাষা সংগ্রামী লায়লা নূর চান সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার। যেন বিকৃত হয়ে না যায় প্রাণের এ ভাষা- তরুণ প্রজন্মের কাছে এমনই প্রত্যাশা তার।